নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জেলার খরস্রােতাখ্যাত কালাবদর নদীর তীরে জেগে ওঠা চর থেকে অবাধে বালু মাটি লুটের মহোৎসব চলছে। ভ্যেকু মেশিন দিয়ে কতিপয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার বালু মাটি তুলে নেয়ায় হুমকির মুখে পরেছে নদী পাড়ের বসত বাড়ি ও ফসলি জমি। প্রতিদিন শত শত জাহাজ মাটি বিক্রি করে ওই প্রভাবশালীরা বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। জানা গেছে, সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের আওতাধীন চরপাওয়ার চর থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করছেন স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা দীর্ঘদিন থেকে নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে ভ্যেকু মেশিন বসিয়ে মাটি উত্তোলন করে আসছে। ক্রমাগত মাটি কাঁটার ফলে নদীপাড়ের গ্রামীণ রাস্তাঘাট, বাজার, মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পরেছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, বিষয়টি জেনেও না যানার ভান করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে বরিশাল সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান বলেন, চরপাওয়ারের চর থেকে বালুমাটি কাঁটার খবর সবেমাত্র তিনি শুনে তাৎক্ষনিক সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন। এছাড়াও স্থানীয় থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, একটি চক্র প্রভাব খাটিয়ে দিনে ও রাতে বালুমাটি লুটের মহোৎসবে মেতে উঠেছেন। তাদের বাঁধা প্রদান করায় উল্টো এলাকাবাসীদের মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছর শীত মৌসুমের শুরু থেকেই জেলার মেহেন্দিগঞ্জ ও সদরের কালাবদর নদী পাড়ের চর থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ওই চক্রটি। প্রতিদিন মাটি কেটে জাহাজ ভর্তি করে ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে প্রভাবশালী ওই চক্রটি কতিপয় পুলিশ ও ভূমি অফিসের এক শ্রেণির দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে আঁতাত করে মাটি লুট করে জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে আসছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাটি কাঁটার শ্রমিকরা বলেন, চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির মাঝির মাটি কাঁটার তিনটি মেশিন রয়েছে। যাতে প্রতিদিন প্রায় দুই শতাধিক লোক মাটি কাটছেন।
Leave a Reply